সবুজ রায়, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নন্দিনী একটি ফুল। আস্তে আস্তে বর্তমানে নন্দিনী ফুল মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদেশে প্রায় ৪৫ রংয়ের ফুল পাওয়া যায় । বাংলাদেশে এখন পযন্ত প্রায় ১৭ রংয়ের ফুল ফোটানো সম্ভব হয়েছে। নন্দিনী ফুল বাগানে দারুন শোভা পায়। আবার ঘরের সুন্দর্য্য বর্ধনে নন্দিনী ফুল ফুলদানিতে রাখা যায় ১০-১৫দিন।
বিদেশে ‘সিলিয়েন্থাস’ নামে পরিচিত ফুলটির বাংলাদেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে অনেক ফুল চাষি বাংলাদেশেই এই ফুল গাছের চারা উৎপাদন করছেন। প্রতিটি ফুল গাছের চারার বর্তমান মূল্য ৭০ হতে ১২০ টাকা। তবে ফুলের রং এর কারণে গাছের মূল্য কম বেশি হয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন দীর্ঘ ২০ বছর এ ফুল নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশে নন্দিনী ফুলের চাষ শুরু করেন এবং সফল হন।
তিনি বলেন বাংলাদেশের আবহাওয়া এ বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য সহায়ক নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় সেখানকার কক্ষে প্রয়োজনীয় আবহাওয়া তৈরি করে বীজ অঙ্কুরিত করতে সফল হন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ ফুলের বীজ খুব ছোট হওয়ায় বিশেষ পদ্ধতিতে অঙ্কুরোদগম করতে হয়। অঙ্কুরোদগমে সময় লাগে ১০-১২ দিন। বীজ থেকে চারা উৎপাদনে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সরকারি ভাবে বেশ কিছু ফুল চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই ফুলের চাষ শুরু হলে অনেক দিক থেকে দেশে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে।
এই নন্দিনী ফুলের চাহিদা বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বগুড়ার ফুল প্রেমিক কনিকা রানী জানান, নন্দিনী ফুল দেখতেও আনেক সুন্দর। ঘরের সুন্দর্য্য বিকাশে এই ফুল অনেক দিন ঘরে রাখা যায়।
বগুড়ার সাবগ্রামে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বাড়ীতে টবে এই নন্দিনী ফুল চাষ শুরু হয়েছে। এই ফুল বাজারে আসলে ব্যাপক চাহিদা পরবে।
সবুজ গাছে এই ফুল যখন ফোটে তখন দেখতে এতো সুন্দর লাগে যা বলার অপেক্ষায় থাকে না।
বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কের পাশে বেশ কিছু ফুলের চারা বিক্রি করার জন্য দোকান বসে। এই দোকান গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা বিক্রি হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু দোকানে এই নন্দিনী ফুলের চারাও পাওয়া যায় । প্রতিটি চারার মূল্য কমপক্ষে ৭০ -১২০ টাকা। বগুড়ার সাবগ্রামের হেলাল ও ফয়সাল নামের দুই যুবক এই ফুলের চারা কিনে নিয়ে গিয়ে টবে চাষ করেছে। ২০ দিনের মাথায় সুন্দর সাদা রং এর ফুল ফুটেছে। বাগানে এই ফুল দারুন শোভা পাচ্ছে। আবার। এই সুন্দর দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজন নন্দিনী ফুলের চাষ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সরেজমিনে এই বাগান ঘুরে দেখা গেছে এই ফুলের অসাধারণ সুর্ন্দয্য। গোলাপ, গাদা, গন্ধরাজ পদ্ম ফুলের চেয়ে এই ফুল অল্প দিনের মধ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে অনেকে মনে করেন