জীবন দাসঃ
আলহামদুলিল্লাহ, বিগত দিনের ন্যায় জিএফসি কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যহত আছে এবং থাকবে। গত ৬ এপ্রিল জিএফসি কর্তৃক ২২০ টি পরিবারে ১৫ দিনের খাদ্য কর্মসূচি সফল করার পর সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং আন্তরিক সহযোগিতায় গাবতলী থানার প্রকৃত দরিদ্র, অসহায়, দিনমজুর এবং পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে অসহায় দিনযাপন করছেন এ রকম ৪০০ টি পরিবারে
“ঈদ উপহার ” বিতরন করা হলো। গাবতলী থানার প্রকৃত সন্তানরাই এই সংগঠনকে অর্থ, শ্রম, পরামর্শ এবং সাহস দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এ সংগঠনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো তাদের প্রতি গাবতলী বাসী ও জিএফসি চির কৃতজ্ঞ। শিক্ষক,চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সামরিক বাহিনী, পুলিশ, ব্যাংকার, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাত্র, জনতা, কৃষক, শ্রমিক সবার প্রচেষ্ঠায় মহৎ এ উদ্যােগটি সফলভাবে সম্পন্ন হলো।
এই উদ্যােগটি সফল করার জন্য যে সকল মানুষের ভুমিকা ছিলো অতুলনীয় বিশেষ করে
ড.গাজী তৌহিদুল আলম চৌধুরী ছনি স্যার,মোঃ আকতার হোসেন স্যার, রেজাউল করিম মহব্বত , ডা.রোকনুজ্জামান সোহাগ ,শরিফুর রহমান মিরাজ ,ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন ,সহঃঅধ্যঃ শফিউর রহমান আপেল , রেজাউল, নবীন, ডাঃ শামীম সহ আমাদের এলাকার এক ঝাক তরুন উদ্দ্যোমী কর্মীবৃন্দ। ঈদ উপহার কর্মসূচি সফল করার জন্য দরিদ্র পরিবার নির্বাচন, প্যাকেটিং এবং তা দরিদ্র পরিবারে পৌছেঁ দিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী।আমরা আশা করবো আগামীতে যে কোন পরিস্থিতিতে গাবতলীবাসী যেন এই সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারে এবং সবার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, আন্তরিকতা, বিনাশর্তে শ্রম, এক সময় হয়তো অরাজনৈতিক জিএফসি সংগঠনটিকে গাবতলীবাসীর একটা আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ করবে। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা যেন প্রতিটি গ্রামে আমাদের সেবা পৌছে দিতে পারি।
আমাদের ঈদ উপহার কর্মসূচি সফল করার জন্য গাবতলীবাসী সবার প্রচেষ্টা ছিলো, সবাই এভাবেই পাশে থাকবেন এবং গাবতলী উপজেলাকে আদর্শ একটি উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল করতে গিয়ে কোনভাবে কারো মনে যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা করে দিবেন।
আল্লাহ সবাইকে হেফাযত করুন এবং দ্রুত বিশ্ব থেকে করোনা ভাইরাস সহ সমস্ত ক্ষতিকর ভাইরাস নির্মূল করুন।